সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
ঈদ মানেই আনন্দ । ঈদ মানেই মাঠে গিয়ে নামাজ পড়া কোলাকুলি করা। নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে অবস্থিত একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। কয়েকটি কারণে শামীম ওসমানের ঈদ জামাত হুমকির মুখে পড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো ঈদের দিন আগামী ৫ বা ৬ জুন বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে শামীম ওসমান যে মাঠে বৃহত ঈদ জামাত আয়োজন করেছেন সেখানে লোক কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে মাঠে নেই কোন পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। বৃষ্টি হলেই মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এছাড়া রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে শামীম ওসমানের ঈদ জামাতে অংশ নেবে না আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি সহ ইসলামী দল গুলোর অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। জনশ্রুতি রয়েছে ইদগাহ মাঠে ইদের নামাজ ব্যতীত অন্য কোন নাচ গানের আসর বসানো যাবে না। শামীম ওসমান যে মাঠে বৃহৎ ইদের জামাত আয়োজন করতে যাচ্ছে সেখানে মাঝে মাঝেই মেলাসহ নাচ গানের আসর বসে যা ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ। এ কারণেই বৃহৎ ঈদ জামাত আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন শামীম ওসমান। তিনি গতবার দেড় লাকিয়া ঈদ জামাত আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছেন।
এবার শামীম ওসমান শ্লোগান পরিবর্তন করে বৃহৎ ঈদ জামাত আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় এবার শামীম ওসমান কতটা সফল হন। এক দিকে রয়েছে বৃষ্টি অন্য দিকে রাজনৈতিক কোন্দল বা মত পার্থক্য ।
আবহাওয়া অফিসে সুত্রে জানা গেছে , ঈদের দিন (৫/ ৬ জুন) নারায়ণগঞ্জ সহ ঢাকা বিভাগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। দু’একদিনের ভেতর বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে রংপুর, রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
প্রসঙ্গত শামীম ওসমান বৃহৎ ঈদ জামাতের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাঠ প্রস্তুত করছে। সেই খরচ অনুযায়ী মাঠ ভর্তি লোক হলে ভালো । আর যদি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম লোক হয় সেটা হবে অপচয়। ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ একক ভাবে বৃহৎ ইদ জামাতের পক্ষে নয়। তারা বলছে আমরা পৃথক ভাবে আমাদের নিজ নিজ সমাজ নিয়ে নিজ এলাকায় ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করব। কিন্তু শামীম ওসমান গায়ের জোড়ে বৃহৎ ঈদের জামাতের ঘোষণা দিয়েছেন । অতীতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন এবারও বর্থ হবেন বলে মনে করছে নগরবাসী।